Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বাসায় ঢুকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
বিস্তারিত

বিশেষ সংবাদদাতা :  খোদ রাজধানীর রামপুরা ওয়াপদা রোডে নিজ বাসায় সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে সিআইডির সাবেক এডিশনাল এসপি ফজলুল করিমকে (৬০)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাসার ভেতরে ঢুকে এ হত্যাকা- ঘটিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। পুলিশের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাকরি জীবনে বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া তনাই মোল্লা ও ডাকাত মোকিম গাজীর মতো পেশাদার কুখ্যাত অপরাধীদেরও গ্রেফতার করেছিলেন তিনি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চাকরি জীবনের কোন ঘটনা বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের হিসেবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেশাদার খুনীদের দিয়ে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই হত্যাকা-ের মিশন শেষ করে দ্রুত খুনীরা পালিয়ে যায়। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ চিহ্নিত বা গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে প্রকাশ্যে বাসায় প্রবেশ করে ফিল্মি স্টাইলে একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করার ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
নিহতের মেয়ে ফারজানা করিম দাবী করেছেন, চাচাতো ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকা- সংঘটিত হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামপুরার ওয়াপদা রোডের ৭৫/২ নম্বর বাড়ির মালিক ফজলুল করিম। ৫ তলা এই বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্লাটে তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাসার ভেতরে ঢুকে খুব কাছে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ৩টি গুলি তার মাথা ও কপালের নিচে বিদ্ধ হলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির পর পর সন্ত্রাসীরা সিঁড়ি দিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে রামপুরা থানা পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
নিহত ফজলুল করিমের স্ত্রী আফরোজা খান স্বপ্না জানান, ঘটনার সময় তিনি রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। ফজলুল করিম বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়ছিলেন। তাদের ড্রাইভার লিটন ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছিলো। লিটন নাস্তা শেষে বের হয়ে যায়। তিনি তখন দরজা বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন। এসময় ২০/২২ বছরের হালকা-পাতলা গড়নের কালো একটি ছেলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং স্বপ্নার গলায় পিস্তল টেকিয়ে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে একটি কক্ষের ভেতরে নিয়ে আটকে রাখে। তখন ওই বাসায় ভেতরে আরো দুই যুবক প্রবেশ করে। তারা কাজের ছেলে আসাদ ও কাজের মেয়ে সুমীকে বারান্দায় নিয়ে আটকে রাখে। স্ত্রীর চিৎকার শুনে ফজলুল করিম বারান্দা থেকে ড্রইংরুমে ঢুকে ওই তিন যুবককে দেখতে পায়। এক পর্যায়ে স্বপ্না ফজলুল করিমের সঙ্গে যুবকদের উচ্চস্বরে কথা শুনতে পান। তখন স্বপ্না তার মেয়েকে ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় ভীত হওয়ার কারণে মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর মনে করতে পারছিলেন না। এই সময় তিনি ৩টি গুলির শব্দ শুনতে পান।
নিহত ফজলুল করিমের প্রাইভেট কারের চালক লিটন জানান, তিনি নাস্তা শেষে বাড়ির নিচে এসে গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। তখন প্রথমে ১ যুবককে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে দেখেন। এরপরে আরো ২ জন উপরে উঠে। এর কিছুক্ষণ পরে তিনি গুলির শব্দ শুনতে পান। গুলির শব্দ শুনে তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তখন সিঁড়িতে ওই ৩ জনকে দ্রুত নেমে যেতে দেখেন। তাদের হাতে অস্ত্র থাকায় তিনি কিছুই বলতে সাহস পাননি। পরে উপরে উঠে দেখেন ফজলুল করিমের ফ্লাটে ঘটনা ঘটেছে। পরে বাসার লোকজন এবং ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় ফজলুল করিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, রামপুরা ওয়াপদা রোডের বেশ ভেতরে সামনে অনেকটা খালি জায়গা রেখেই তৈরি করা হয়েছে ৫ তলা ভবন। পূর্ব পরিকল্পনার পাশাপাশি একাধিকবার রেকি করা ছাড়া এ ধরনের হত্যাকা-ের পর পালিয়ে যাওয়া সহজ নয়। তাছাড়া খুনীরা কিভাবে আসে বা হত্যার মিশন শেষ করে কিভাবে পালিয়ে যায় এ ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারেনি বাড়ির ভাড়াটিয়া বা অন্য কোন প্রতিবেশী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাড়াটিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি নাস্তা করছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনলে স্ত্রীকে বলেন কোথায় গুলি হয়েছে দেখ। একটু পরেই জানতে পারেন যে বাড়ির মালিক খুন হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ এলাকায় দূর থেকে এসে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে।
ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সাংবাদিকদের জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার রামকৃষ্ণদিতে ফজলুল করিমের গ্রামের বাড়ি। বাড়িতে পৈতৃক জমিজমার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ফজলুল করিমের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। গত বুধবার তিনি এই বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে সিরাজদিখান যান। সারাদিন দেনদরবার শেষে রাতে ঢাকায় ফিরে আসেন। বুধবার রাতে ঢাকার বাসায় আবার তাদের বৈঠকে বসার কথা ছিলো।
বাসার কাজের ছেলে ৮ বছরের আসাদ ও ১২ বছরের কাজের মেয়ে সুমী জানায়, তাদেরকে ৩ জন লোক বারান্দায় নিয়ে আটকে রাখে। তারা গুলির শব্দ শুনেছেন। কিন্তু যারা এসেছিলো তাদেরকে আগে কখনো দেখেনি।
ফারজানা আরো জানান, চাচাতো ভাইরাই তার বাবাকে খুন করেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তাদের গ্রেপ্তার করলেই এ হত্যাকা-ের রহস্য বের হয়ে আসবে। তবে কর্মজীবনে তিনি অনেক চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্ত করেছেন। সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখারও দাবি জানান তিনি।
ফজলুল করিমের মেয়ে জামাই চৌধুরী মুকিমউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর জানান, তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে গুলশানে বসবাস করেন। সকালে এ ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসেন। কি নিয়ে এ হত্যাকা- সংঘটিত হতে পারে তা তিনি জানেন না।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকা-ের মোটিভ দেখে মনে হচ্ছে, খুনিরা পেশাদার। কোন কিছু নিয়েই ফজলুল করিমের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ফজলুল করিমকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। যদি তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসতো তবে কোন রুমে আটকে রেখে মালামাল লুট করে পালিয়ে যেতো।
একজন দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, পেশাদার কিলার হওয়ার কারণে প্রথমে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের হত্যাকা- খুব গভীর থেকে তদন্ত করা না হলে প্রকৃত ঘটনা বুঝা সহজ হবে না।
নিহত ফজলুল করিমের চাচাতো ভাই আব্দুল হাই খান জানান, চাকুরী জীবনের শেষ দিকেই তিনি পুরোদমে নামাজ-কালাম পড়া শুরু করেন। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে শুরু করেন। বেশীরভাগ সময়ই তিনি মসজিদে বসে আল্লাহর নাম জপ করতেন। পরিবারের কারো সঙ্গে তার কোন বিরোধ ছিলো না। তিনি গ্রামের বাড়িতে শেখ মো: মিয়ারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় কুমনি মাদ্রাসার সভাপতিও ছিলেন। তিনি রামপুরার তাকওয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কর্মজীবনে অসম সাহসী ও চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিজ বাসায় নিহত সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম তার কর্মজীবনে অসম সাহসী ও চৌকষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে তার কর্মদক্ষতা, সাহস, মেধা ও যোগ্যতা নিজ বিভাগকে ছাপিয়ে জনমনে আস্থা অর্জন করে। কর্মজীবনের প্রথম দিকে বিভিন্ন থানায় পোশাকধারী পুলিশ হিসেবে কাজ করে সুনাম অর্জন করেন। আর পরের দিকে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে অনেক চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক অপরাধমূলক কর্মকা-ের রহস্য উদঘাটন করায় দেশজুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়েছিল ফজলুল করিমের। অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত অসাধারণ কর্মদক্ষতায় অর্জন করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদকসহ পুলিশ বাহিনীর অসংখ্য পদক-পুরস্কারও। রাজধানীর রামপুরায় ওয়াপদা রোডের নিজ বাসায় ৬৭ বছর বয়সী সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে। নিহত ফজলুল করিম ২০০৭ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই অবসরে যান তিনি। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর বোমা হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। ফজলুল করিমের চৌকষ ও অসম সাহসী কর্মতৎপরতার কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ধরা পড়ে অসংখ্য দুর্র্ধর্ষ ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী-অপরাধী। এক সময় ফজলুল করিমের কারণে তটস্থ হয়ে থাকতো অপরাধীরাও। অপরাধের সুযোগ না পাওয়া বা আইন-শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করে পার না পাওয়া সেসব সন্ত্রাসীদের ক্ষোভ-প্রতিহিংসার বলি তাকে হতে হলো কিনা- সে প্রশ্নই উঠেছে এখন সর্বত্র।
ফজলুল করিমের শ্যালক তৌহিদ প্রিন্সও একই আশঙ্কা ব্যক্ত করে জানান, বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করেছেন তিনি। আর এ কারণেই এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে সন্ত্রাসীরা। বা কেউ সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাকে খুন করাতেও পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নিহতের বন্ধু সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ বজলুর রহমান কিসলু ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরমান আলী জানান,  ১৯৬৬ সালে ইস্ট পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিসে সহকারী স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজলুল করিম। এরপর ফায়ার সার্ভিস ছেড়ে ১৯৬৯ সালে পুলিশের এএসআই পদে যোগদান করেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ওসি ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার কর্মদক্ষতায় বিপিএম ও পিপিএম পদকে ভূষিত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে সিআইডিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পুলিশের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাকরি জীবনে আলোচিত তনাই মোল্লা ও ডাকাত মোকিম গাজীকে গ্রেফতার করেছিলেন। এই দুইটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
আলামত জব্দ
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম হত্যাকা-ে আলামত জব্দ করছে গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের খিলগাঁও জোনের এসি নূর আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ফজলুল করিমের বাড়ি থেকে এক জোড়া জুতো, একটি গামছা, নাস্তার টেবিলের ভেঙে যাওয়া গ্লাস ও দুইটি গুলির খোসা জব্দ করেছে পুলিশ। নিহতের গাড়িচালক লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ডিবি, সিআইডি, র‌্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
মতিঝিল জোনের ডিসি আশরাফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডি আলামত সংগ্রহ করছে। তদন্ত করে সব জানা যাবে। এ মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। অস্ত্রধারীরা বাসার ভেতর কীভাবে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। হত্যাকা- পারিবারিক না চাকরি জীবনের কোন ঘটনার জের এটি তদন্ত করা হচ্ছে।
সিআইডির বিশেষ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ জানান, ঊনিশশ’ আশির দশকে কয়েকটি আলোচিত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ফজলুল করিম।

ছবি
ডাউনলোড