চা বাগান
দেশের ১৫৩টি চা বাগানের মধ্যে বাহুবল উপজেলা রয়েছে ০৫ টি বাগান। সর্ববৃহৎ রশিদপুর চা-বাগানের আয়তন ৫৫৭৪.৩০ হেক্টর। এর পুরোটাই আবাদ হয়। অন্যান্য চা-বাগানগুলো হল কেদারপুর চা বাগান, বৃন্দাবন চা বাগান, ফয়জাবাদ চা বাগান ও আমতলী চা বাগান ।এখানকার বেশকিছু চা বাগানের নজরকাড়া সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে চলেছে। এখানকার মাইলের পর মাইল বিস্তৃত চা বাগান দেখে মনে হবে যেন পাহাড়ের ঢালে সবুজ গালিচা বিছানো রয়েছে। দেশের সবচেয়ে উন্নতমানের চা এখানেই উৎপন্ন হয়ে থাকে।
চা বাগান থেকে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমে সিলেট এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে। এই চা বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করছে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। সুরমা অববাহিকা তথা সিলেটের আশেপাশের সব এলাকাই চা বাগানে আবৃত আর এ কারনেই চা বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় সম্পদ।
সিলেটের চা বাগানের ভ্রমন যে কারো জন্যই হবে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। এই চা বাগানগুলো ইংরেজ রাজদের শাসনকালের স্মৃতি বহন করছে। ইংরেজরাই এখানে চা চাষের সূচনা করেছিল এবং সেই সময়ের মতো আজও চা বাগানের ম্যানেজারেরা কাঠের তৈরি সাদা রঙের ভবনে বাস করেন। চা বাগানের বাংলোগুলো চমৎকার করে সাজানো বিশাল বাগানের ওপর অবস্থিত। চা বাগানের জীবন যাত্রাও রয়েছে অনেকটা ইংরেজ আমলের মতই।
চা বাগান কিভাবে যাওয়া যায়:
মিরপুর বাজার থেকে সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় যাওয়ার পথে দু পাশে চোথে পরবে অনেকগুলো চা বাগান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস